বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। বৃহস্পতিবার দিন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাবে এই রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার, যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
২০২৩ সালের জুনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছিল ৩১.২০ বিলিয়ন ডলারে। এরপর থেকে এটি দ্রুত হ্রাস পেতে শুরু করে এবং আর কখনও ৩০ বিলিয়নের উপরে উঠতে পারেনি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF)-এর হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৫ দশমিক ৫১ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্স প্রবাহ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ঋণের প্রভাবে এই বৃদ্ধি সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
এর এক দিন আগে, অর্থাৎ বুধবার, বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল রিজার্ভের পরিমাণ ২৭.৬৭ বিলিয়ন ডলার, তবে IMF-এর হিসাবমতে এটি ছিল ২২.৬৫ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪ সালের জুলাইয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে রিজার্ভ নেমে গিয়েছিল ২৫.৯২ বিলিয়ন ডলারে, যা IMF এর মানদণ্ড অনুযায়ী ছিল মাত্র ২০.৪৮ বিলিয়ন ডলার। তখন সরকারের পক্ষ থেকে ডলার বিক্রির হার ছিল অনেক বেশি।
বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান এবং রেমিট্যান্সের বৈধ পথকে উৎসাহিত করার ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। পাশাপাশি রপ্তানি খাতে আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের সহযোগিতাও মিলেছে।
জুন মাসে ঈদুল আজহার ছুটির মধ্যে ১০ দিন ব্যাংক বন্ধ থাকলেও, ২১ জুন পর্যন্ত প্রবাসী বাংলাদেশিরা প্রায় ১৯৯ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৪ শতাংশ বেশি।
চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত মোট ২৯৫০ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় ২৬.৬৭ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে বাড়লে দেশের অর্থনীতি আরও স্থিতিশীল ভিত্তি লাভ করবে।