জঙ্গিবিরতি আলোচনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের দ্বারস্থ: মধ্যপ্রাচ্যের শান্তির এক নতুন উদ্যোগ?
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে চীনের কাছে মধ্যস্থতার অনুরোধ জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, চীনের ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং কূটনৈতিক প্রভাব এই অঞ্চলে শান্তি ফেরাতে সহায়ক হতে পারে।
চীন এ বিষয়ে সরাসরি জবাব না দিলেও একাধিকবার বিশ্ব মঞ্চে আহ্বান জানিয়েছে, যেন মধ্যপ্রাচ্যের সব পক্ষ আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধের পথ খোঁজে।
চীনের ভূমিকায় আশার আলো?
চীন দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যে সক্রিয় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ না করলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে নিজেদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে প্রমাণ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চীন যদি এবারও আলোচনার মাধ্যমে শান্তি আনতে পারে, তবে এটি চীনের জন্য একটি বড় কূটনৈতিক জয় হবে।
রাশিয়া ও চীনের যৌথ দৃষ্টিভঙ্গি
এই পরিস্থিতিতে রাশিয়া ও চীন উভয়েই শান্তিপূর্ণ সমাধানের পক্ষে। দুই দেশই যুক্তরাষ্ট্রের একতরফা হস্তক্ষেপের নীতির বিরুদ্ধে এবং আলোচনাকে প্রাধান্য দিতে বলেছে।
বিশ্ব রাজনীতিতে এর প্রভাব
- চীনের কূটনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়বে
- যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক নতুন মাত্রায় পৌঁছাতে পারে
- মধ্যপ্রাচ্যে কৌশলগত ভারসাম্য রক্ষা পাবে
বিশেষ মন্তব্য: বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকেও এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতা সরাসরি প্রবাসী বাংলাদেশিদের ও দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে।
সূত্র: Time Magazine, CNN, এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিশ্লেষণ।