
আজ শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২৫। দেশের প্রতিটি মসজিদে জুমার নামাজের পূর্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে জুমার খুতবা। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে মুসলমানদের জন্য জুমার খুতবা একটি অপরিহার্য উপদেশমূলক পর্ব, যেখানে সাম্প্রতিক সমাজ-ব্যবস্থা, নৈতিকতা ও আধ্যাত্মিক উন্নতির বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
আজকের খুতবায় আলোচনা করা হয় আত্মনিয়ন্ত্রণ, আল্লাহভীতির চর্চা (তাকওয়া) এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার বিষয়ে।
📖 কোরআনের আলোকে খুতবার বার্তা
ইমাম সাহেব কোরআনের সূরা হাশরের একটি আয়াত দিয়ে খুতবা শুরু করেন:
“হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যেন চিন্তা করে সে আগামীকালের (আখেরাতের) জন্য কী প্রস্তুত করে রেখেছে।”
— (সূরা হাশর, আয়াত ১৮)
এই আয়াতের মাধ্যমে মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনে তাকওয়ার গুরুত্ব এবং নিজের আমল পর্যালোচনার আহ্বান জানানো হয়।
📜 হাদিসের আলোকে নৈতিকতা ও সংযম
খুতবায় আরও বলা হয়, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন:
“আল্লাহকে ভয় করো যেখানেই থাকো, একটি খারাপ কাজ করলে একটি ভালো কাজ দ্বারা তা মুছে ফেলো, এবং মানুষের সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করো।”
— (তিরমিজি শরিফ)
এই হাদিসের ব্যাখ্যায় ইমাম সাহেব মুসলমানদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, জীবনের প্রতিটি ধাপে আমাদের উচিত আল্লাহভীতি অবলম্বন করা, নিজের মনকে সংযত রাখা এবং মানুষের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা।
💬 সামাজিক অবক্ষয়ের প্রতিকারে খুতবার বার্তা
ইমাম সাহেব আজকের সমাজে চলমান মিথ্যা, দুর্নীতি, ঘুষ, সামাজিক অবিচার ইত্যাদি বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মুসলিম সমাজকে এইসব অপকর্ম থেকে ফিরে এসে ইসলামি আদর্শ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হবে।
ইমাম সাহেব মনে করিয়ে দেন, ইসলামের শিক্ষা কেবল নামাজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় — বরং আমাদের পুরো জীবনেই তা প্রতিফলিত হওয়া জরুরি।
🕌 খুতবার উপসংহার
শেষে তিনি বলেন, “যদি আমরা তাকওয়া ও আত্মসংযম অর্জন করতে পারি, তবে ব্যক্তি ও সমাজ— উভয়ক্ষেত্রে শান্তি ও ন্যায়ের সমাজ গড়ে উঠবে।”
আজকের খুতবার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহর প্রতি আহ্বান জানানো হয়, যেন আমরা কোরআন ও সুন্নাহর আলোকে নিজেদের জীবন গঠন করি, এবং সমাজে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলি।
লিখেছেন: ইসলাম ডেস্ক | টাইমস অফ বাংলাদেশ