🔥 গাজায় আবারো ভয়াবহ হামলা, নিহত অন্তত ২৩ জন – উত্তপ্ত পরিস্থিতি জেরিকোতেও
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নতুন করে চালানো সামরিক অভিযানে প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ২৩ জন। বৃহস্পতিবার ভোররাতে সংঘটিত এই হামলায় ছয়জন ত্রাণকর্মী নিহত হন, যাঁরা একটি শিবিরে সাহায্য সরবরাহ করতে গিয়েছিলেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু, যা পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন-এও তুলে ধরা হয়েছে।
একই দিনে, গাজা সিটির উত্তরের একটি আবাসিক ভবনে বোমা হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আল-কুদস হাসপাতালের পরিচালক ড. মারওয়ান সুলতান ও তার পরিবারের সাত সদস্য। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ ঘটনাকে "স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে অপরাধ" হিসেবে আখ্যায়িত করে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
🧭 পশ্চিমতীরেও বাড়ছে উত্তেজনা
শুধু গাজা নয়, ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীর অঞ্চলেও পরিস্থিতি উদ্বেগজনকভাবে ঘোলা হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি জেরিকো শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা এক মাসে ছয়টি অবৈধ ফাঁড়ি গড়ে তুলেছে। স্থানীয় ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের বাড়িঘরে হামলার অভিযোগও পাওয়া গেছে। আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে পশ্চিমতীরে ইসরায়েলের যেকোনো বসতি স্থাপন অবৈধ হিসেবে গণ্য হয়।
🤝 কূটনৈতিক আলোচনা ও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব
এর আগে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে জানান, গাজায় ৬০ দিনের একটি সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইসরায়েল সম্মতি দিয়েছে। যুদ্ধ থামানোর এই উদ্যোগের মাধ্যমে উভয় পক্ষের সঙ্গে স্থায়ী শান্তিচুক্তির চেষ্টা চালানোরও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
তবে অন্যদিকে, হামাস যদি আলোচনায় অংশ না নেয়, তাহলে গাজাকে “ধ্বংসস্তূপে” পরিণত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম Axios জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি বা বন্দী বিনিময় চুক্তি দ্রুত না এগোলে ইসরায়েল তাদের সামরিক অভিযান আরও ভয়াবহ করে তুলবে বলে জানিয়েছে।
🔚 উপসংহার
গাজা ও পশ্চিমতীরের চলমান পরিস্থিতি আবারও মধ্যপ্রাচ্যের মানবাধিকার সংকটকে সামনে এনে দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মহলের উচিত, অবিলম্বে সংঘাত থামাতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা, না হলে এই রক্তপাতের মাশুল শুধু নিরীহ সাধারণ মানুষকেই দিতে হবে।