![]() |
ফাইল ফটো: সংগৃহীত |
জাতীয় নির্বাচন ২০২৫: প্রার্থীদের তথ্য সংগ্রহে মাঠে পুলিশ প্রশাসন
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সম্ভাব্য প্রার্থীদের পরিচয় ও ব্যাকগ্রাউন্ড সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে নেমেছে বাংলাদেশ পুলিশ। নির্বাচনের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও সহিংসতাহীন রাখতে এই তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের ৪ জুলাই থেকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের অতীত রেকর্ড ও পরিচয়ভিত্তিক বিশ্লেষণ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা। নির্বাচনে কোনো ধরণের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড যাতে না ঘটে, সেজন্য আগাম প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই পুলিশের বিশেষ শাখা (SB) এ কার্যক্রম চালাচ্ছে।
তথ্য সংগ্রহের জন্য একটি নির্দিষ্ট ফরম প্রার্থীদের কাছে সরবরাহ করা হচ্ছে, যাতে নিচের তথ্যগুলো চাওয়া হয়েছে:
- সংশ্লিষ্ট থানার নাম
- প্রার্থীর পূর্ণ নাম
- পিতার নাম
- মাতার নাম
- স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা
- মোবাইল নম্বর
- জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর
- জন্ম তারিখ
- কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী এবং দলে বর্তমান পদ
- শিক্ষাগত যোগ্যতা
- পূর্ববর্তী কোনো অপরাধের রেকর্ড (PCR)
এই তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে একটি ডাটাবেইস তৈরি করা হচ্ছে, যা ভোটের আগে সম্ভাব্য প্রার্থীদের কার্যকলাপ মনিটর এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে ব্যবহার হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, "আমরা চাই একটি সহিংসতামুক্ত ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন। এজন্য প্রার্থীদের সঠিক পরিচয় ও অতীত কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আগেই পরিষ্কার ধারণা রাখা জরুরি।"
ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন থানায় এসব ফরম পৌঁছে গেছে এবং তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া চলছে পুরোদমে। যদিও এই তথ্য সংগ্রহ নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় চলছে কিনা তা নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি, তবে পুলিশ প্রশাসন বলছে—এটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে একটি প্রয়োজনীয় ও রুটিন উদ্যোগ।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি এই প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছতা ও গোপনীয়তা বজায় রেখে সম্পন্ন করা যায়, তবে এটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন ব্যবস্থায় নিরাপত্তার দিক থেকে একটি ইতিবাচক সংযোজন হবে।