‎    ‎    ‎    ‎    ‎      ‎      ‎                    ‎        ‎    ‎    ‎    ‎      ‎     

Breaking News

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে ‘নৌকা’ প্রতীক গোপন, রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া

নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে হঠাৎ করে সরানো হয়েছে ‘নৌকা’ প্রতীক। বিষয়টি ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে ‘নৌকা’ প্রতীক গোপন হওয়া নিয়ে বিতর্ক

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওয়েবসাইট থেকে হঠাৎ করে সরিয়ে ফেলা হয়েছে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক প্রতীক ‘নৌকা’। বুধবার সকাল থেকে নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যাচ্ছে না এই প্রতীকটি। বিষয়টি ইতোমধ্যেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

নির্বাচন কমিশনের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় কমিশন এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে অনেক বিশ্লেষক বলছেন, এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে বিতর্কিত পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া মঙ্গলবার রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ক্ষোভ প্রকাশকারী পোস্ট দেন।

তিনি লেখেন, "অভিশপ্ত ‘নৌকা’ মার্কাটাকে আপনারা কোন বিবেচনায় আবার শিডিউলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন? সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই গণ–অভ্যুত্থানকে আপনারা জাস্ট বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখালেন। কাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এবং কাদের দেওয়ার জন্য এই মার্কা রাখছেন আপনারা?"

তিনি আরও বলেন, "পরাজিতদের স্বপ্নের রিফাইন্ড আওয়ামী লীগকে তাদের মার্কা ফিরিয়ে দিতে চান? বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে নির্বাচন কমিশনের প্রতি প্রশ্ন রইল।"

নির্বাচনী প্রতীক তালিকা থেকে ‘নৌকা’ সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মতে, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে। যদিও নির্বাচন কমিশন এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রেস বিবৃতি দেয়নি, তবে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়া ইঙ্গিত দিচ্ছে, সামনে আরও বড় বিতর্ক তৈরি হতে পারে।

অন্যদিকে, সাধারণ জনগণ এবং ভোটারদের মধ্যেও এই সিদ্ধান্ত নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেউ বলছেন এটি একটি গণতান্ত্রিক পদক্ষেপ, আবার কেউ বলছেন এটি একটি পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ।

নির্বাচন কমিশনের ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ এবং এই ইস্যুতে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়ার দিকেই এখন সবার নজর।

إرسال تعليق

Cookie Consent
We serve cookies on this site to analyze traffic, remember your preferences, and optimize your experience.
Oops!
It seems there is something wrong with your internet connection. Please connect to the internet and start browsing again.
AdBlock Detected!
We have detected that you are using adblocking plugin in your browser.
The revenue we earn by the advertisements is used to manage this website, we request you to whitelist our website in your adblocking plugin.
Site is Blocked
Sorry! This site is not available in your country.

বার্তা টাইমস